মোঃ রোমান আকন্দ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের তালতলা থেকে শুরু করে রুপার বাজার হয়ে হাসেম বাজার মেইন রাস্তা পর্যন্ত শুরু হয়েছে ইরি ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। তাইতো কৃষকেরা ধান মাড়াইয়ের পাশাপাশি ধানের খড় শুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এসব খড় শুকানো হচ্ছে পাকা রাস্তার ওপর। এতে করে খড়ের উপর দিয়ে আতঙ্কে চলাচল করছেন পথচারীসহ ছোট-বড় যানবাহন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের তালতলা থেকে গাইবান্ধার পুরাতন ব্রীজ সড়কে অটো চালক মুকুল মিয়া সুবর্ন নিউজকে বলেন,প্রতিদিন এই রাস্তায় আমাদের গাড়ি নিয়ে যেতে হয়। গাড়ি ভর্তি যাত্রী থাকে। ইরি ধানের সময় হলেই এই রাস্তায় খড় শুকানোর মহা উৎসব হয়।একদিকে পাকা রাস্তার মাটির ও পাথর সরে হাজারো গ্যাপের সৃষ্টি হয়েছে। তার উপর খড় শুকাতে দেওয়ায় এ গ্যাপগুলো বোঝাও যায়না ধরাও যায়না।যার ফলে এ গ্যাপে গাড়ি পড়লেই বিশাল দুর্ঘটনা ও ক্ষতির স্বীকার হতে হয়।আমি হয়তোবা গাড়ির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব। কিন্তু মানুষের ক্ষতি মোকাবেলা করব কি ভাবে।
স্থানীয় এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন,আমাকে প্রতিদিন বাড়ি হতে গাইবান্ধায় চাকরি করতে অফিসে যেতে হয়।এখন রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তার প্রায় স্থানে খড় দিয়ে ভর্তি।আর এই খরের উপর দিয়ে গাড়ী চালানোর সময় বেশ কয়েক দিন রাস্তায় স্লিপ করে পরে যাই। তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আঘাতের পরিমাণ বেশি।এর পাশাপাশি গাড়ির হেডলাইটি ভেঙে যায়।এতে আমি আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হই।
কয়েক জন পথচারীর সাথে কথা হলে তারা জানান,গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া,গিদারী, কামারজানি সহ বেশ কয়েকটি রাস্তা এতটাই ছোট যে দুইটি অটো মুখোমুখী কাটাকাটি করতে গেলে আমাদের ভয় লাগে। আর একটি সাইকেল যাওয়াও খুব মুসকিল।আর সেই রাস্তায় আবার কৃষকরা খড় শুকাচ্ছে। প্রতি বছর এ রাস্তাগুলোতে খড় শুকানোর সময় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে । এবারও রাস্তায় খড় শুকানো শুরু হয়েছে।
এবছরও মনে হয় দুর্ঘটনা হতে পারে।তাইতো সচেতন মহলের আহ্বান, আমরা আশা করছি প্রশাসন বিষয়টি খুব দ্রুত সমাধান দিবে। নয়তোবা প্রতিদিন দুর্ঘটনার কবলে হারিয়ে যাবে হাজারো জীবন।