মোঃরোমান আকন্দ
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সবচেয়ে পরিচিত ও সুনামধন্য একটি ঘাটের নাম তালতলা খেয়াঘাট। কিন্তু বর্তমানে খেয়াঘাটের মালিকদের বিভিন্ন অনিয়মে সুনাম নষ্ট হচ্ছে দিনের পর দিন।তাইতো এরকম অনিয়মের অবসান ঘটাতে ছাত্র আন্দোলনে মুখরিত হয়েছে তালতলা খেয়াঘাট।

সরজমিনে গিয়ে তালতলা খেয়াঘাটে উপস্থিত হলে চোখে পরে ছাএ – জনতার উপচে পরা ভীড়।ভাড়া কমানোর দাবিতে মাঠে নেমেছে ছাএ সমাজ।তাদের দাবি ভাড়া কমিয়ে মানুষের ভোগান্তি ও হয়রানি কমাতে হবে।

ছাত্র আন্দোলনকারীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, এ খেয়াঘাটটি প্রতিবছর জেলা পরিষদের মাধ্যমে ডাক হয়।এ ডাকের ভিত্তিতে খেয়া পায় মালিকপক্ষ। তারা নিজেরা দাম কষাকষির মাধ্যমে ও টাকার গরমে ৫-৭ লক্ষ টাকায় ঘাট ডেকে নিয়ে আসে।আর ওই টাকার দায়ভার চেপে দেয় আমজানতার উপর। এক বছরে ৫-৭ লক্ষ টাকা ও তার সাথে নিত্য দিনের
কামলার দাম তোলার জন্য জন প্রতি বাড়িয়ে দেয় টাকার পরিমাণ। এক পার হতে একটি মানুষ ১০ টাকা, মোটরসাইকেল ২০ টাকা, সাইকেল ১০ টাকা, ভ্যান ১৫ টাকা, গরু সহ একটি মানুষ ২৫- ৩০ টাকা। এমন ভাড়া দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ পড়ে বিপাকে। আর তাদের ভোগান্তিরও শেষ থাকে না। তাইতো আমরা এমন ভোগান্তিকে চিরতরে মুক্তি দেয়ার জন্য ছাএরা আন্দোলনে মাঠে নেমেছি।আজ থেকে নুন্যতম ভাড়ায় এপার থেকে ওপারে পারাপার হবে সকল জনগন।আমাদের ভাড়ার তালিকায় থাকবে খালি মানুষ ৫ টাকা, সাইকেল সহ মানুষ ৫ টাকা, মোটর সাইকেল ১৫ টাকা, ভ্যান – রিক্সা ১০ টাকা,গরু সহ একটি মানুষ ২০ টাকা।

এদিকে খেয়া মালিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আমরা এই মতামত মেনে নিতে পারব না। আমরা ৫-৭ লক্ষ টাকা দিয়ে খেয়াঘাট ডেকে নিয়ে আসি। তাদের মনমতো ভাড়া আমরা মানতে পারবো না।এমন কথাকে কেন্দ্র করে ছাত্র আন্দোলকারীরা জানান, আপনারা যদি ঘাট চালাতে না পারেন তাহলে ঘাট ছেড়ে দেন। ছাত্র সমাজ আজ এখন থেকে ঘাট চালানো শুরু করবে।এমন পরিস্থিতিকে সামাল দিতে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সহ দুই দলের মাঝে বোঝাশোনা করে ছাত্র আন্দোলনকারীদের কথা মেনে নিয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। মানুষ ৫ টাকা,সাইকেল সহ মানুষ ৫ টাকা,মোটরসাইকেল ১৫ টাকা,ভ্যান ১০ টাকা, গরু সহ একটি মানুষ ২০ টাকা।

ছাত্র আন্দোলনকারীরা আরও জানান,আমরা আজ যে টাকা ভাড়া নির্ধারন করে দিয়েছি এর চেয়ে যদি বেশি ভাড়া কোন যাএীর কাছে থেকে নেয়া হয় তাহলে আমাদের কাছে থাকা আপনাদের বলা প্রমান সরুপ ভিডিও প্রশাসনকে দেখে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।

পরে পারাপারে ভোগান্তি যাত্রী ও স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান,আজ থেকে আমাদের অতিরিক্ত ভাড়ার অবসান ঘটলো। ভাড়া কম হওয়ায় আমরা অনেক খুশি হলাম।যেভাবে অন্যায় আর দু্র্নিতির বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ উঠে পড়ে লেগেছে ওদের মহত্বের কারণে ওদেরকে সেলুট জানাই।