ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানায় শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সুধীজন ও সাংবাদিকদের ছাড়াই শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে ওপেন হাউস ডে পালিত হয়েছে।
এনিয়ে স্থানীয় সুধীজন ও সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় ক্ষেতলাল থানা চত্বরে “পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ক্ষেতলাল থানার আয়োজনে ওপেন হাউস ডে পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, থানা জামাতের সেক্রেটারি শামীম মন্ডল, পৌর বিএনপির সেক্রেটারি নাফিউল হাদি মিঠু, মাহমুদপুর বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ, সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, ক্ষেতলাল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আলীমুজ্জামান সেলিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাকর্মী।
ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে আমন্ত্রণ করার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে শিক্ষক, ব্যবসায়ী সমিতি, সুধীজন ও সাংবাদিকদের কাউকে আমন্ত্রণ করা হয়নি।
ক্ষেতলাল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন রতন বলেন, থানার ওপেন ডে’র কোন দাওয়াত পাইনি।
ক্ষেতলালের শিক্ষক সংগঠন উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, আমরা এ বিষয়টি জানিনা। আমাদের থানা থেকে কোন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
ক্ষেতলাল প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বলেন, ওপেন হাউস ডে’র বিষয়ে সাংবাদিকদের জানানো হয়নি। অথচ ওপেন হাউস ডে চালুর অন্যতম লক্ষ্য ছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এলাকার মানুষের সঙ্গে পুলিশের এক হয়ে কাজ করা।
এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সমিতি, সুধীজন ও সাংবাদিকদের উপস্থিতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তারা সমাজের সুবিধা-অসুবিধাগুলো বেশি জানেন এবং তা নিয়ে কাজ করে থাকেন।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান সুধীজন, ব্যবসায়ী নেতা ও সাংবাদিকদের কারও উপস্থিতির বিষয় নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রোগ্রামে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আপনি একটু সেকেন্ড অফিসারের থেকে নামগুলো জেনে নিবেন।
এবিষয়ে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ক্ষেতলাল থানার (সেকেন্ড অফিসার) উপ পরিদর্শক শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ছরি ভাই সাংবাদিকদের দাওয়াত দেওয়ার বিষয়টি স্মরণে ছিলনা। আপনারা কিছু মনে করবেন না। শিক্ষক-সুধীজনদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ছিল তবে আমি নাম জানিনা।