মো: শুভ ইসলাম
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধা জেলা সুন্দরগঞ্জ থানায় নির্মিত হচ্ছে এক স্বপ্নের মিনি পদ্মা সেতু, এই সেতু দেখার জন্য রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন, এই সেতু দেখার জন্য নানা বয়সী ও নতুন প্রজন্ম সহ এই সেতু দেখার জন্য আসেন ও ছবি তুলতে ভুল করেন না তার স্মৃতির পাতায় রেখে দিতে চান এই সেতুটি, গাইবান্ধা জেলা ও কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের অনেক স্বপ্নের সেতু, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে লাগবে না পারাপার করতে লঞ্চ ফেরি বা নৌকা, ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে আর সহ্য হচ্ছে না তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষে শুধু অপেক্ষায় আছে কখন চোখের পলকে পার হবে তাদের স্বপ্নের সেতুটিতে চরে। গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ হরিপুর এলাকায় দেখা যায় রাতদিন চলছে কাজ এক একটা স্পেন যেন এলাকাবাসীর স্বপ্ন পথের এক একটা সিঁড়ি।
এই সেতুটিতে মোট ৩১ টি স্পেন তার মধ্যে বসানো হয়েছে ২১টি ফলে অনেকটি দৃশ্যমান হয়েছে সেতুটি যা দেখে মুক্ত হয়েছে তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষ,স্থানীয়রা জানান এই সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মানুষ খুব সহজে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে, যেমন ভুরুঙ্গামারী লালমনি নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম উলিপুর চিলমারি সহ ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে ও রংপুর বিভাগের ও,আরো বলেন এই সেতুটি চালু হলে দুই পাড়ের মানুষের পাল্টে যাবে ভাগ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে তিস্তা নদীর দুই পাড়ের মানুষের, আরো জানান নদীর এপার ওপার বসে থাকতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা তাও আবার সিরিয়াল ধরে রোদ বৃষ্টির মাঝখানেও থাকতে হয় দুই পাড়ের মানুষের,পার হতে হবে বলেই কথা, কিন্তু সেতুটি চালু হলে মাত্র ১০ মিনিটেই যেতে পারবে।
ফলে দীর্ঘদিনের দুর্গতির অবসান ঘটে সাফল্যের সীমাহীন ও স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ হরিপুর চিলমারী তিস্তা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে সেতুটি, সেতুটির দৈর্ঘ্য ১০০০হাজার ৪০০শো ৯০ মিটার, মোট স্পেন ৩১ টি তার মধ্যে বসানো হয়েছে ২১ টি , দুই পাশে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে, তারমধ্যে গাইবান্ধা সড়কে ৭৬ কিলোমিটার বাকি অংশে কুড়িগ্রাম সড়কে , ও দুই পাশের নদীর কাজ চলছে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার,নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে দুই পাড়ের মানুষ, এই সেতুটি ভিত্তি স্থাপন করেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ২০১৪ সাল ২৬ শে জানুয়ারি, নানা জটিলতা কাটিয়ে সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। এই সেতুটির ব্যয় দেখানো হয়েছে,৭৩০ কোটি, ৮৫ লাখ টাকা, ২০২৪ সালে এই সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করার কথা রয়েছে।