মোঃ মিজানুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাগেরহাটে ১৪ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় , প্রধান আসামীসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ৬। জানা গেছে, ভিকটিমের বাবা বাড়িতে না থাকায় তাদের প্রতিবেশী প্রধান আসামী গৌরাঙ্গ দাশ(৩৫) দুরভিসন্ধি নিয়ে কৌশলে চেতনাশক ঔষধ মিশিয়ে ভিকটিমকে ’কোমল’ পানীয় পান করতে দেয়।
একই দিন রাতে চেতনানাশক ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সে ঘুমিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে রাত আনুমানিক ২২.৩০ ঘটিকায় ভিকটিমের মা বাথরুমে যাওয়ার সময় ভিকটিমের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে তার হাতে থাকা টর্চ লাইট মারলে মেয়েকে বিছনায় না দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে।
তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন চলে আসলে সবাই একসাথে তার মেয়েকে খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পাশ্ববর্তী সুপারী বাগানে পেীঁছালে ভিকটিমের মা প্রধান আসামীকে ধর্ষণ করা অবস্থায় দেখতে পায়। আসামীরা ভিকটিমের মা ও তার দাদাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ধর্ষণকান্ড ধামাচাপা দিতে আসামীরা ভিকটিমের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
গত ২৬/০৯/২০২৪ তারিখ বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় ১৪ বছরের নাবালিকাকে অপরহণ পূর্বক ধর্ষণ মামলা রুজু করেন নাবালিকার পরিবার।নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণের এমন নেক্কারজনক , জঘন্য ও ঘৃণিত বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়াসহ সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত হয় ও জনমনে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করে। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬, (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও অভিযান শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন গাবতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অপহরণপূর্বক ধর্ষণ মামলার প্রধান ১নং আসামী গৌরাঙ্গ দাশ(৩৫) ও ৩নং আসামী নিত্যনন্দ দাশ(৩৫), উভয় পিতা-সেীভাগ্য দাশ, সাং- বেতাগা, থানা- ফকিরহাট, জেলা- বাগেরহাটদ্বয়কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে উক্ত আসামীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা জেলার রূপসা থানাধীন ইলাইপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ২নং আসামী তন্ময় দাশ(৩৮), পিতা-সেীভাগ্য দাশ, সাং- বেতাগা, থানা- ফকিরহাট, জেলা- বাগেরহাটকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।