ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট কৃপা শংকর। তবে ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে যাননি।
কৃপা শংকর ছুটি নিয়ে বাড়িতে না ফেরায়, পরিবারের লোকজন নিখোঁজ হয়েছে ভেবে তাকে হন্য হয়ে খুঁজতে থাকে। উদ্বিগ্ন কৃপা শংকরের স্ত্রী স্বামীর খোঁজ পেতে উন্নাওয়ের এসপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে রাজ্য পুলিশের একটি নজরদারি দল রহস্য উদ্ঘাটন করে।
২০২১ সালের জুলাইয়ে কৃপা শংকর ছুটি নিয়ে বাড়িতে না গিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের কানপুরের একটি হোটেলে। হোটেলে তার সঙ্গে ছিলেন এক নারী কনস্টেবল।
হোটেলে ওঠার সময় কৃপা শংকর তার ব্যক্তিগত ও অফিশিয়াল উভয় মোবাইল নম্বরই বন্ধ করে রাখেন।
উন্নাওয়ের পুলিশ দ্রুত হোটেলটিতে যায়। তারা হোটেলটিতে কৃপা শংকর ও এক নারী কনস্টেবলকে একত্রে দেখতে পায়।
কৃপা শংকর ও নারী কনস্টেবলের হোটেলে প্রবেশের দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। পরবর্তী সময়ে তদন্তের ক্ষেত্রে এই ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
এ ঘটনায় ভারতের উত্তর প্রদেশ পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট কৃপা শংকর কানৌজিয়াকে কনস্টেবল পদে পদাবনতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হোটেলে এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে বিব্রতকর অবস্থায় ধরাপড়ার তিন বছর পর তাকে এই ‘শাস্তি’ দেয়া হলো।