মোঃ নুরুজ্জামান জুয়েল:
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নে দক্ষিণ বিয়ারা গ্রামে প্রভাবশালীর নির্যাতনের শিকার বিধবা নারী শিরিন আক্তার সুবিচারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
গত শনিবার ৬ এপ্রিল (২০২৪) বিকাল চারটায় নগরীর মাসকান্দা বিসিকের মোড় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে অসহায় বিধবা নারী শিরিন আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে নিজের স্বাক্ষরিত প্রেস নোট অনুযায়ী বক্তব্য দেয়।
ভুক্তভোগী বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মাহমুদ বাদল ও এলাকার প্রভাবশালী শরিফুল ইসলাম ওরফে পাতলা খান, শামসুল মিয়ার পুত্র আওলাদ হোসেন, মৃত সোবহানের পুত্র জয়নাল মুন্সি, ছাত্তার, সাইদুল ইসলাম এর পুত্র আব্দুল্লাহ, রফিকুল ইসলামের পুত্র রুহুল আমিন, মোখলেছ আর্মির পুত্র মাহফুজ ও তাদের অজ্ঞাতনামা সাঙ্গপঙ্গরা আমাকে প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব দেয়।
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে জয়নাল মুন্সি আমাকে যৌন নির্যাতন করে। তারা আমাকে দিয়ে প্রেমের ফাঁদে জড়িয়য়ে মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় সহ নানাবিদ অপকর্ম করতে বাধ্য করে। তাদের কথা মত কাজ না করলে আমাকে যখন তখন শারীরিক নির্যাতন করতো। বর্তমানে চক্রটি আমার বাড়ি ভিটার জায়গা জমি জোর পুর্বক দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাদল চেয়ারম্যান ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা আমার বাড়িতে আগুনে লাগিয়ে আমাকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দেয়৷ তারা আমাকে শিশু পাচারকারী আখ্যা দিয়ে আমার উপর অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করে। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করে।
বাধ্য হয়ে আমি শিরিন আক্তার ত্রিশাল থানায় জিডি নং- ১৫৫৩ তারিখঃ ২৮/০১/২০২৪ দায়ের ও বিজ্ঞ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করি। এতেও আমার উপর অত্যাচার ও নির্যাতন থামেনি। তাদের একের পর এক মামলা হামলা ও হুমকি ধামকিতে প্রাণের ভয়ে বাড়ী ঘর ছেড়ে আমি পালিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত করে আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।