মোঃ রোমান আকন্দ,
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গেল কয়েক দিনের ঘূর্নিঝর রেমালের কবলে পড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানের ঘরবাড়ি সহ ফলফলাদীর গাছ।
এরই ধারাবাহিকতায় গেল রাত ২.০০ ঘটিকায় হঠাৎ দমকা হাওয়া বিপাকে ফেলে মানুষের জনজীবন।যার ক্ষতির মাএা নিরুপন করা যায়না।
সরজমিনে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম গুলো ঘুরে ঘুরে দেখলে চোখে পরে মানুষের হাহাকার।চোখে মুখে যেন লেগে আছে ক্ষতির মাএা।গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের মালতলা গ্রামের এক ব্যক্তি জানান,আমার বয়সে এমন ঘূর্নিঝড় কখনও দেখিনি।এবার ঘূর্নিঝড় রেমাল এতটায় ভয়াবহ যে আমার বিল্ডিং ঘরের পাশে বড় গাছ ছিল দমকা হাওয়ার কারনে গাছ এমন ভাবে ভেঙ্গে পড়ে যে বিল্ডিং ঘরের এক অংশ ফেটে যায়।এতে আমার বিশাল ক্ষতি হয়,যা মানা খুবই কষ্টের।
তালতলা থেকে দারিয়াপুর, কামারজানি পর্যন্ত মেইন রাস্তা গুলোর হয়েছে বেহাল দশা।রাস্তার পাশের বড় বড় গাছ,বাঁশের ঝোপঝাড় এগুলো দুমরে মুচরে পড়ে আছে রাস্তার মাঝে, বেশিরভাগ ডালপালা গুলো আটকে আছে বিদ্যুতের পোল কিংবা তারের সাথে।এতে করে ভুক্তভোগী হচ্ছে এলাকাবাসী।
ভোক্তভূগী জাকির বলেন, গেল কয়েক দিনের ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে একটানা দুই তিন দিন আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।এতটায় ভোগান্তিতে ছিলাম যে,যা বলে ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।গতকাল রাত ৭ টায় বিদ্যুৎ আসলেও রাত ২.০০ টায় দমকা হাওয়ার কারনে বিদ্যুৎ চলে যায় যা এখন পর্যন্ত এমন অবস্থায় আছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানায়,ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে গাছপালা বিদ্যুতের তারের উপর এমন ভাবে ভেঙ্গে পড়ছে যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি।আর বিদ্যুতের তারের উপর গাছের ডাল পড়ার কারনে আমরা সকাল থেকে রাত এপর্যন্ত এগুলো মেরামতের কাজ অব্যাহত রেখেছি।এগুলো ক্লিয়ার করা হলে আমরা বিদ্যুত সংযোগ দিতে পারবো।
এদিকে এলাকাবাসীর আহব্বান এবছর ঘূর্ণিঝড় রেমাল যেভাবে আমাদের উপর আঘাত হানছে তার মাএা কমিয়ে আনার জন্য উপর মহলকে একটু হলেও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।