মোঃ রোমান আকন্দ
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

শুনলেই অবাক হয়ে যাবেন পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা মশার কথা বলেছেন। আল্লাহতালার এত সৃষ্টি থাকতে মশার কথা বললেন কেন। অবাক হয়ে যাবেন প্রতিটি মশার গায়ে যতগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আছে একটা হাতির শরীরেও এত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নেই। কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে বায়ুদ অর্থাৎ মশার কথা। বর্তমানে যে মশাগুলো কামড়ে দেয়, যে মশা রক্ত খায় সেগুলো হচ্ছে স্ত্রী মশা।আর পুরুষ মশাগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ায় আর ফল মূলের রস খেয়ে বেচে থাকে।কিন্তু স্ত্রী মশা গুলো রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে।

পৃথিবীতে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মশা রয়েছে।আল্লাহ যে মশার কথা বলেছেন সেটি স্ত্রী মশা।এটি গবেষণা করে জার্মানির এক বিজ্ঞানী মুসলিম হয়ে গেছেন।

স্ত্রী মশার মুখের উপরে দুটি এন্টিনা আছে।মানুষ যে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে সেই স্ত্রী মশা তার এন্টিনার সাহায্যে ৭০ ফিট দুরে থেকে বুঝতে পারে ওখানে মানুষ আছে।শুধু তাই নয় তার এই দুটি এন্টিনা দিয়ে সে বুঝতে পারে এই মানুষটির শরীরে রক্তে কোন দোষ আছে কিনা। সুবহানাল্লাহ। যে রক্তে ভেজাল আছে স্ত্রী মশা সে রক্ত গ্রহন করে না। স্ত্রী মশা সব সময় বিশুদ্ধ রক্ত খেয়ে থাকে। মশার নিচে রয়েছে একটি এক্সে মেশিন। রাতের অন্ধকারে মানুষটির শরীরের কোন জায়গা থেকে রক্ত খেয়ে থাকবে তা এর সাহায্যে নির্ধারন করে থাকে।আর স্ত্রী মশা যে রক্ত খায় তা হলো বংশবৃদ্ধির জন্য।

এই মশা যখন তার রক্ত নেওয়ার জন্য হুল ফুটায় তখন সে সর্ব প্রথম ঐ মানুষটির উপর অর্থাৎ যে জায়গা থেকে রক্ত নেবে সেই জায়গায় নিজস্ব এনেচথেশিয়ার সাহায্যে ঐ জায়গাটা অবস করে দেয় আর সে রক্ত নেয়। যাতে মানুষ বুঝতেও না পারে ।

পৃথিবীরতে এত বড় বড় প্রানী থাকা সত্তেও তাদের মাধ্যমে মানুষের মৃতু হয় না যতটা মৃত্যু হচ্ছে মশা দ্বারা।

তাই আমাদের উচিত যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলা।কারন মশা বিস্তার লাভ করে নোংরা ও অপরিস্কার জায়গায়।যার ফলে প্রতি বছর ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ায় মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। তাই আসুন নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি।এর মাধ্যমে সুন্দর একটি পরিবেশ গড়ী।