প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

ফরিদপুরের সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে বিজিবি এডি’র সাইবার ক্রাইমে মিথ্যা মামলা শিরোনামের গত ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখে ক্রাইম নিউজ প্রতিদিন অনলাইন/পত্রিকা হতে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী মোঃ হাফিজুর রহমান,এই মর্মে প্রতিবাদ জানাচ্ছি যে, আপনার পত্রিকায় সাংবাদিক মিজান কর্তৃক যে সকল তথ্য প্রকাশ করেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত, উক্ত সাংবাদিক মিজান আমার পিতার সাথে দৈনিক একুশের বানী প্রত্রিকায় কাজ করতো। গত ২০১৪ সালে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য সম্পাদক কর্তৃক মিজানকে পত্রিকা থেকে বহিষ্কার করে। উক্ত বহিষ্কার কে কেন্দ্র করে মিজান ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের সাথে দন্ধের সূত্রপাত হয়।

উক্ত দন্ধের কারণে মিজানের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় গত ২০২০ সালে দিপিকা কে দিয়ে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য এবং মামলার খরচের টাকার জন্য সাংবাদিক হাবিবুর রহমান এর বড় সন্তান বিজিবির সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান এর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে মিজান তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে সংবাদ প্রকাশ করে। এরই জের ধরে ২০২২ সালে পল্টন থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়েরী করি। উক্ত সাধারণ ডায়েরীটি সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত কর্তৃক তদন্তের জন্য সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন ডিভিশন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বরাবর প্রেরণ করলে সিটি সাইবার ইনভেষ্টিগেশন টিম কর্তৃক সকল সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯ ধারায় চার্জশীট আদালতে প্রেরন করে। গত জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে সকল স্বাক্ষ্য ও তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে মামলা হিসাবে গ্রহন করে আসামীর বিরুদ্ধে সমন প্রেরণ করে যার মামলা নম্বর: সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতের মামলা নম্বর ২৩/২৪। গত ২০/০৫/২০২৪ তারিখে মামলার শুনানি ধার্য্য ছিল।

আদালত কর্তৃক সকল স্বাক্ষ্য ও তথ্যের ভিত্তিতে আসামী মিজানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে।ঘটনার সূত্রপাত: ফরিদপুর জেলার, নগরকান্দা থানার, জঙ্গুরদী গ্রামের মৃত- সামচুল হক তারা মাতুব্বর এর পুত্র অসংখ্য মামলার চলমান আসামী, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করার পর ও আসামী মিজানের বন্ধ হয়নি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা। মামলার বিবরণে প্রকাশ বিজিবি অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান এর সরকারী ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি সহ হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন মুলক একের পর এক অপ- প্রচার করে আসছে আসামী মিজান। এতে করে গোটা বিজিবি বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।

অপরদিকে হাফিজুর রহমানের পিতা আন্তজার্তিক এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক (তদন্ত) ও দৈনিক সংবাদ মোহনা পত্রিকার সহঃসম্পদাক এবং গোপালগঞ্জের ৭১- এর হেমায়েত বাহিনীর তালিকাভুক্ত (মুক্তিযোদ্ধা) মোঃ হাবিবুর রহমান সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে ছবি সহ আসামী মিজান তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে মিথ্যা অপ- প্রচার করায়, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সহ তার পরিবার বর্গের কোটি টাকার মান ক্ষুন্ন করেছে আসামী মিজান। ফেইসবুকে লেখা-লেখি বন্ধ করার জন্য আসামী মিজান উক্ত বিজিবির কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা ও দাবি করে। এ ব্যাপারে উক্ত হাফিজুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা করেন (মামলা নং- ২৩/২৪)। ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন ডিভিশন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বরাবর তদন্তের নির্দেশ দেন। সাইবার টেরোরিজম ইনভেষ্টিগেশন টিম কর্তৃক সমস্ত স্বাক্ষ্য প্রমাণাদির ভিত্তিতে আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯ ধারায় উক্ত মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন এবং ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত কর্তৃক জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে আসামী মিজানের বিরুদ্ধে প্রথমে সমন জারী করেন।উল্লেখ্য যে, আসামী মিজানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে সমন জারী করার পরও আসামী মিজান সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতকে তোয়াক্কা না করে এবং বিজ্ঞ আদালতকে অবমাননা করে, বাদী বিজিবি অফিসার হাফিজুর রহমানের সরকারী ইউনিফর্ম পরিহিত ছবিসহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা সহ তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে অপ- প্রচার করেই যাচ্ছে। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, আসামী মিজানের বিরুদ্ধে, বরগুনা জেলার সাংবাদিক রুবি আক্তার বাদী হয়ে, বরগুনা সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। যাহা বরগুনা সদর থানার জি আর মামলা নং- ১৩৮৮/২০২২ ইং। ধারা ৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩২৫/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ (২) দন্ডবিধি। মামলাটি স্বাক্ষীর শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে সূত্রে প্রকাশ।

এছাড়াও ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার, জঙ্গুরদী গ্রামের সরকারী কাজী মৌলভী মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে, আসামী মিজান গংদের বিরুদ্ধে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করেন। যাহা নগরকান্দা থানার জি আর মামলা নং ১০০/২০২৪ ইং। ধারা ৩২৩/৩২৬/৩২৬ (ক)/৩০৭/৩৭৯/৩৪ দন্ডবিধি। মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। এছাড়াও নগরকান্দা থানার গজারিয়া গ্রামের মোসাঃ শাহারা আক্তার বাদী হয়ে উক্ত মিজান গংদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করেন। মামলা নং- ৬৬/২০২৪ ইং। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-৩) এর ১১ (গ)/৩০ ধারা। মামলাটির স্বাক্ষি শেষ হয়েছে, রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও উক্ত শাহারা আক্তার বাদী হয়ে আসামী মিজান গংদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা করেন। যাহার নং- ৪৭৪/২৩ ইং। ধারা -১০৭/১১৭ সি। এছাড়া নগরকান্দা থানার কল্যানপট্টি গ্রামের মোঃ ইলিয়াছ মাতুব্বর ও ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন, মিজানের জমজ ভাই আবুল হাসানের বিরুদ্ধে। যাহার মামলা নং- ১৯/২০২৪ ইং। ধারা ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ (২) দন্ডবিধি। এছাড়া নগরকন্দা থানার শালিথা গ্রামের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হাবিদুর রহমান শিশির বাদী হয়ে, ফরিদপুর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উক্ত মিজান গংদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যাহার মামলা নং- ৪৭৫/২২ ইং। ধারা ৫০০/৫০৬ দন্ডবিধি। এছাড়া নগরকান্দা থানার মোঃ হাবিবুর রহমান সাংবাদিক কলামিস্ট বাদী হয়ে ঢাকা সি এম এম আদালতে আসামী মিজানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যাহার নং ৭৪/২০১৫ ইং। ধারা ৫০০/৫০১/৫০৬ দন্ডবিধি। মামলাটির স্বাক্ষি চলমান রয়েছে। এছাড়াও উক্ত মিজান এর বিরুদ্ধে নগরকান্দা থানার শালিথা গ্রামের মোঃ দেলোয়ার, মিজানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর আদালতে মামলা করেন। মামলার নং- ৩৩৫/২২ ইং। নগরকান্দা থানা সহ দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য ডায়েরী রয়েছে উক্ত মিজানের বিরুদ্ধে।সংবাদটিতে স্থানীয় ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, মামলার কপি, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এখানে কাউকে ছোট করার জন্য বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়নি বা প্রতিবেদকের নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে করা হয়নি।