জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় গলিত মৃতদেহের পরিচয় সনাক্তকরনসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
মৃতদেহটি গত ২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের দিন থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবক নাঈম ইসলামের ( ২৩) । তিনি উপজেলার ধরঞ্জী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মাসুদ রানার ছেলে ও মহিপুর হাজি মহসিন সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। স্বজনদের দাবী ও আবেদনের প্রেক্ষিতে উদ্ধার হওয়া নাঈমের মৃতদেহটির দেহাবশেষ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ ।
অন্যদিকে নাঈম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পলাতক স্বামী-স্ত্রীকে গতকাল রাতে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হলেন-বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে রেজ্জাকুল আলী (৪৩),ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন। তাদের বগুড়া সদর উপজেলার পীরগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতদেহটি সনাক্তের পর থেকে একই এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা ওই দম্পত্তি পলাতক ছিলেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার অতিরিক্ত সিনিয়ার পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজের সাড়ে ৫ মাস পর গত ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার ধরঞ্জী বাজার সংলগ্ন একটি নির্মাধীন বাড়ীর মাটিতে পুঁতে রাখা গলিত মৃতদেহের হাড়গোরের উদ্ধার করে বগুড়া সজিমেক এর ফরেনসিক বিভাগে পাঠায় পুলিশ। সেখান থেকে মৃতদেহের পরিচয় সনাক্ত করা হয়।
নাঈমকে নারী ঘঠিত বিষয়ে ফাঁসিয়ে দিয়ে রেজ্জাকুল ও তার স্ত্রী সাবিনা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে পাঁচবিবি থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষে হত্যা মামলা করা হলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান বগুড়ায় নিশ্চিত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।