এম রাসেল আহমেদ, জয়পুরহাট :
জয়পুরহাটরে কালাইয়ে জোর করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালাই উপজেলার কুসুম সাড়ার গ্রামে লক্ষি রানী গতকাল সোমবার থানায় একটি অভিযোগ করেন।
লক্ষি রানী জানান, তিনি বেশ কিছু দিন র্পূবে তার মায়ের নিকট থেকে র্পাশ্বর্বতী উলিপুর মাঠে ১ একর ২ শতক (৩ বিঘা ২ শতক) জমি দান পত্র সূত্রে মালিকানা স্বত্ত লাভ করনে। তার স্বামী অমল মহন্ত অসুস্থ হলে এবং সাংসারিক ব্যায়ের জন্য উক্ত জমি র্পাশ্বর্বতী কুসুমসারা গ্রামের আবু সফিয়ান, মেহেদুল ইসলাম ও শাহিনুর রহমান নামে ৩ জন কৃষকরে কাছে বন্ধক রাখেন।
বন্ধকী সূত্রে জমিতে ওই ৩ জন কৃষক ধান রোপন করেন এবং র্বতমানে জমিগুলির ধানক্ষতে কাটামাড়াইয়রে উপযোগী হয়েছে। এমতাবস্থায় উলপিুর গ্রামের তোতা মিয়া ও ভেরেনন্ডি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসসহ ১২/১৩ জন লোক জোর করে ওই জমি থেকে সব ধান কেটে নিয়ে যায় । এ সময় লক্ষী রানীর নিকট থেকে বন্ধক গ্রহিতেরা এসে অভিযোগ দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেই। তখন তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে ধান কেটে নিয়ে চলে যান বলে জানান লক্ষী রানী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তোতা মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই জমি লক্ষী রানীর ভাই নিত্য মহন্তনের কাছ থেকে ১ বছররে জন্য পত্তন নিয়ে চাসাবাদ করছেন, আর এই বছর চাষাবাদ করা হলে মেয়াদ শেষ হবে।
লক্ষি রানীর ভাই নিত্য মহন্ত জানান, যে জমিটির ধান কাটা হয়েছে সেই জমি তার বাবা তাকে লিখে দিয়েছে। সে তোতা মিয়া ও আব্দুল কুদ্দুসের কাছে টাকা নিয়ে এক বছরের জন্য পত্তন দিয়েছে।কালাই থানার অফসিার ইনর্চাজ (ওসি) জাহিদ হোসেন জানান,অভিযোগ পেয়েছি ইতিমধ্যেই তদন্তের ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।
ছবির ক্যাপশন- জয়পুরহাটরে কালাইয়ে সোমবার জোর করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।