মোঃ রোমান আকন্দ,
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। এখন সেটি বাংলাদেশর উপকূলসহ বিভিন্ন জেলার দিকে এগিয়ে আসছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।তাইতো গাইবান্ধা জেলার বেশ কয়েকটি উপজেলায় গত কাল থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো থেকে মাঝারি বর্ষন।যা কিনা এখন পর্যন্ত বিদ্যমান।
সরজমিনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন ব্রীজ সংলগ্ন অটোস্টানে দাড়িয়ে থাকলে চোখে পড়ে ঘূর্নিঝড় রেমালের কারনে বাতাসের বেগের অবস্থা সেই সাথে বইছে বৃষ্টির ভারি বর্ষন। এ দুইয়ে মিলে যেন ঘোলাটে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
রেমালের কারনে সৃষ্ট বৃষ্টিতে ভুক্তভোগী মুদি দোকানদার জানায়, আমার বাড়ি ও দোকান ঘাগোয়া ইউনিয়নের রুপার বাজারে প্রতিদিন আমি রুপার বাজার থেকে গাইবান্ধা পুরাতন বাজারে মাল কিনতে আসি।অন্যান্য দিনের ন্যায় আজও দোকানের মাল কিনতে এসে বিপদে পড়েছি। গত কাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়ির সংখ্যা একেবারে কম।আর অটো না থাকায় দোকানের মাল নিয়ে দাড়িয়ে থেকে পোহর গুনছি।এতে করে আমার অনেক ক্ষতি হতে পারে।
গাইবান্ধা পুরান ব্রিজে এক অটো চালকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমনিতে প্রতিদিন রাতে কারেন্ট থাকে না আমারা আমাদের অটোগুলোও ভালোভাবে চার্জ দিতে পারি না।আর এমন আবহাওয়া যদি থাকে তাহলে আর আগামীকাল অটো রাস্তায় বের করতে পাবো না।অনেককে হেটে হেটে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে হবে।
তালতলা বাজারের কয়েকজন লোকের সাথে কথে কথা হলে তারা জানান, সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি টানা বৃষ্টি হচ্ছে সেই সাথে বাতাসের বেগ ও আওয়াজ এতটাই বেশি যে বাড়ি থেকে বাজারে যাবো বাজার করতে মনে খুবই ভয় হচ্ছে। সেই সাথে হাতে থাকা ছাতাটাও আটকানো যাচ্ছে না। এমন আবহাওয়া যদি একটানা কয়েক দিন থাকে তাহলে আমরা সব মিলিয়ে বিপদে পড়বো।