ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। এ অবস্থায় অনেকেই মাটিতে শুয়ে পড়েন, এতে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু শরীরের জন্য এটি কোনও প্রভাব পড়ে কিনা তা জেনে রাখা দরকার। আগের কালে অনেকেই মাটিতে বা মেঝেতে ঘুমাতেন। তবে এখন মনুষগুলো খাট আর ম্যাট্রেসেই বেশির ভাগ মানুষ ঘুমান। কিন্তু মেঝেতে ঘুমালে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে।
আসুন জেনে নিই মেঝেতে ঘুমালে
শরীরে যে প্রভাব পড়ে-
রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়: মেঝেতে ঘুমালে রক্ত সঞ্চালন অনেক ভালো হয়। শরীর ভালো রাখতে ভালো রক্ত সঞ্চালন জরুরি। তাই মেঝেতে শুলে সেই হিসাবেও শরীর ভালো থাকে।
ঘাড়ে ব্যথাও কমতে পারে: ঘাড় সোজা করে না ঘুমালে ঘাড় ও পিঠে ব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে আকাবাঁকা হয়ে ঘুমালে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এই ব্যথা এড়ানো যায়। কারণ, এক্ষেত্রে ঘাড় সোজা থাকে।
পিঠের ব্যথা কমতে পারে: অনেকেই বলেন, মাটিতে ঘুমালে মেরুদণ্ড ভালোভাবে সোজা হয়ে থাকে। এতে যাদের পিঠে ব্যথার সমস্যা আছে, তারা কিছুটা উপকার পেতে পারে। এমনকি কোমরের ব্যথাও এতে কমতে পারে। তাই এঠি মোটেই খারাপ অভ্যাস নয়।
ঘুমের সমস্যা কমতে পারে: গরমে অনেকেরই ভালো করে ঘুম হয় না। মাটিতে ঘুমালে ইনসোমনিয়া বা ঘুম না হওয়ার সমস্যা কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। তাই গরমকালে এটি মোটেই খারাপ অভ্যাস নয়।
তবে এর পাশাপাশি শরীরে কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেই বিষয়েও ভালো করে জেনে রাখা দরকার। বিশেষ করে যাদের কিছু শারীরিক সমস্যা আছে, তাদের মেঝেতে ঘুমানো উচিত নয়।আসুন জেনে নিই কারণগুলো-
ঠান্ডা লেগে যেতে পারে: গরমে ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমালে আরাম পেতে পারেন, তবে ঠান্ডায় ঘুমোনোর কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে শরীরের তাপ দ্রুত কমাতে পারে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়। ফলে জ্বর হতে পারে।অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে: মেঝেতে প্রায়শই বেশি ধুলোবালি ও ময়লা জমে। বিশেষ করে কার্পেটের ওপর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এর থেকে হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
তাই মেঝেয় ঘুমানো আপনার জন্য ঠিক হবে কিনা, তা নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আর আরাম পেতে গিয়ে কোনো ভুল কাজ করবেন না। প্রয়োজনে অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তার থেকে ভালো করে জেনে নিয়ে তবেই মেঝেতে ঘুমাবেন।