কলমে: মোঃ আব্দুল রহমানঃ
ধরণী মধুর কোলাহল আর কলতানে মোড়ানো;
মাথায় অবারিত খোলা আকাশ,
এবং চরণে তাঁর শস্য শ্যামলী শোভায় মণ্ডিত।
উপরে নীল, নীচে সবুজ,
আবার রংধনুর সাত রঙের বিচিত্র বাহার!
পশু, পাখি, পতঙ্গ! আহ্, কত প্রজাতির সমাহার!
তবে তাতে শ্রেষ্ঠ মানবজাতি। সবার উপরে।
সত্যিই সৃষ্টির এক অপরূপ দৃশ্য প্রকাশিত;
মন, প্রাণ ও চক্ষু ধাঁধানো! সত্যিই অপূর্ব !
যার ছোয়ায় শান্তির তড়িৎ খেলার কথা।
কিন্তু, হায়! কোথায় সে শান্তি?
এ যেন এক মুক্ত বাতাসে বদ্ধ শাসন!
কেবল হঠাৎ করে আঁতকে ওঠা! শিহরিত মন!
যুদ্ধের ঘ্রাণ বাতাসে ভাসছে।
তবে কেন? কেন বসুন্ধরার বুকে ঢালছো বারুদ?
হে পৃথিবীর শ্রেয় জীব! জবাব দাও!
কেন অবলা, নিরীহ, নিষ্পাপ প্রজাতি গুলো মরছে?
কী অপরাধ তাদের? জবাব দাও!
কেন বিলুপ্ত হতে হবে তাদের অনাহারে,
অবহেলা ও বঞ্চনায়? সুখ, শান্তি কি
তারা স্পর্শ করবে না? ধরার বুকে কেন খেলছো
এমন স্বার্থযুদ্ধের খেলা? জবাব দাও!
কি চাও তোমরা? কি পেলে মিটবে পিপাসা?
তবে ধরণীকে হত্যা করে কি মিটবে মনের অভিপ্রায়?
জবাব দাও! জবাব তোমাদের দিতেই হবে।
বসুন্ধরা ঠাঁই দিয়েছিল ভালোবেসে,
বাঁচতে শিখিয়েছিল সবারে হেসে খেলে।
মনে রেখো ‘কালদন্ড’ অপেক্ষা করছে…!
খুব নিকটে ‘বিচার দিবস…!’
“সত্য সদা প্রকাশিত !”