সুনীল কুমার
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি:-
পালিত হল আদিবাসীদের অন্যতম প্রধান উৎসব গোয়াল পুজা/সহরায় উৎসব।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে এ পুজা বা উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।
এদিন বাড়ির মহিলাগন নানাবিধ সাজে ঘর রাঙিয়ে তোলেন এবং চালের গুড়া দিয়ে আলপনা আঁকেন। ঘরের আসবাবপত্র পরিষ্কার করা
বিশেষকরে কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করা। হয় এবং চালের গুঁড়ো করা পানি এগুলোতে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। গৃহকর্তা সকাল থেকে উপবাস করে দুপুরবেলায় স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড়ে গোয়ালে বসে পূজা করেন।
পূজার উপকরণ হিসেবে একটি কাঁসার থালায় ধূপ, সিঁদুর, আতপ চাল, তাপান (হাড়িয়া পানি) পিঠা ব্যবহৃত হয় এবং একজাতীয় গাছের ডাল খুটি হিসেবে ব্যবহৃত হয় যেটা ভগবানরূপে পুজিত হয়। হয়, গরুর গোয়ালে লাল মোরগ সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয়।
প্রতিটি গরু ও মোষের শিঙে তেল ও সিঁদুর মাখিয়ে মাথায় ধান শিষের তৈরী মোড় পরানো হয়। এরপর গৃহকত্রী নববস্ত্র পরে উলুধ্বনি দিয়ে গাভি পূজা করেন, যাকে গরু চুমা বলা হয়ে থাকে।
এইদিনে গবাদিপশুকে ভাল খাবার খাওয়ানো হয়। সহরায় উৎসবে মূলত গৃহপালিত পশুর মঙ্গল কামনা ও কৃষিকার্য সুচারুভাবে সম্পন্নের জন্য শক্তির বন্দনা করা হয়। এবং সব আয়ের উৎসসূচক স্থানে গিয়ে নেচে নেচে মঙ্গল কামনা করা হয়।
অঞ্চলভেদে পুজাটির নামের ভিন্নতা রয়েছে। এই পুজাটি আদিবাসীদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মূল আনুষ্ঠানিকতা তিন দিনের হলেও ধুমধামের রেশ থাকে চার থেকে পাঁচ দিন।