মোঃ রোমান আকন্দ, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
যার চলে যায় সেই বোঝে হায় সন্তান হারানোর কি যন্ত্রণা। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কিংবা হাহাকার শুধু তারাই বোঝে যাদের সন্তান হারিয়েছে। হোক সে স্বাভাবিক কিংবা অস্বাভাবিক।বাবা মায়ের কাছে সব সন্তানেই সমান।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা ১০ নং ঘাগোয়া ইউনিয়নের তালতলা বাজারে নাম না জানা এক অজ্ঞাত ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যায়। তার বয়স আনুমানিক ১৭ বছর।দেখতে অনেকটা সাদাসিদে হলেও সঠিকভাবে সে তার পরিচয় দিতে পারছে না। না বলতে পারে তার নাম,না বলতে পারে পিতা-মাতা কিংবা গ্রামের নাম। সকল দিক থেকে বিবেচনা করলে মনে হয় সে একজন অস্বাভাবিক ছেলে। এমন বিষয়কে কেন্দ্র করে তালতলা বাজারে জমে উঠেছে হইচই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হঠাৎ করে ছেলেটি কোথা থেকে যেন এসে তালতলা বাজারে পল্লী চিকিৎসক সোহানুর রহমান সুমনের দোকানের সামনে উপস্থিত হয়।কিন্তু তার আচারন স্বাভাবিক মনে হয়না।তার সাথে কেউ কথা বলতে আসলে তাদেরকে মারধর করে এমন আচারনে তাকে স্বাভাবিক বলে মনে হয় না।
তাইতো তালতলা বাজারের অনেকে জানান, ছেলেটি দেখতে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়। কোথা থেকে এসেছে তা অবশ্য সে বলতে পারছে না।হঠাত করে শুধু বলে গোবিন্দগঞ্জ। আসলে তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে কিনা আমরা তা সঠিক বলতে পারবনা। তাইতো আজ রাতে তালতলা বাজার সংলগ্ন পল্লী চিকিৎসক সেহানুর রহমান সুমনের দোকানের সামনে রেখে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সোহানুর রহমান সুমন জানান,সে আসলে মানসিক ভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। সে তার নাম কিংবা বাড়ির ঠিকানা সঠিক ভাবে বলতে পারে না।তাইতো আমি তাকে আমার ঔষধের দোকানের সামনে আমার হেফাজতে রেখেছি।এতে যদি কোন খোঁজ খবর হয় তাহলে আমি ছেলেটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেবো।
এমন মহানুভবতা দেখে মনে হয় মানুষ মানুষের জন্য এটাই বাস্তবতা। তাই প্রত্যেককে সোহানুর রহমান সুমনের মতো মন মানসিকতা হওয়া উচিত। এতে করে স্বজনরা ফিরে পাবে তাদের হারানো মানুষগুলকে।