ফরিদপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক রবিনকে (২৩) গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ছিনতাই হওয়া রিকশাও উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) শেখ মো. আব্দুল্লাহ বিন কালাম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নাঈম (৩১) ও শেখ হালিম (৪২)। নাঈম খান সদরপুর উপজেলার মীরের ডাঙ্গী গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে। পুলিশ বলছে, নাঈমই রবিনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে কালাম জানান, গত ১৫ জুলাই জেলার সদর উপজেলার কোতয়ালী থানার গজারিয়া পাটপাশা সেতুর কাছে একটি মেহেগুনি বাগানের ভেতর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি শনাক্ত করে জেলার সদরপুর থানার হালিম চৌধুরী ডাঙ্গী গ্রামের ইকলাছ মোল্যা বাদী হয়ে ছেলে হত্যার একটি অভিযোগ করেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় নাঈমকে জেলার চরভদ্রাসন থানার বিএস ডাঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, নিহতের ব্যাটারিচালিত রিকশা উদ্ধারসহ শেখ হালিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নাঈমের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নাঈম লেগুনা চালায়। রবিন ও নাঈম পরস্পর পরিচিত। গত ১৫ জুলাই সকালে রবিনের রিকশায় ফরিদপুর শহরের পতিতাপল্লীতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তারা। শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা পুলিশে ধরতে পারে, এ কারণে রিকশাটি কোথাও রেখে যাওয়ার কথা বলেন নাঈম। নিহত রবিনকে শহরে পাঠিয়ে দিয়ে কৌশলে রিকশাটি ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়ে দুজনে পতিতালয়ে যান তারা। সেখান থেকে ফেরার পথে রবিন তার রিকশার কথা জানতে চাইলে কৌশলে গজারিয়ার পাটপাশা সেতুর পাশে মেহগুনি বাগানে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে নিহতের দুটি ফোন নিয়ে চলে যান নাঈম।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালাম বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনিকে চিহ্নিত করে রিকশা ও মোবাইলসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে হত্যাকারী ও ‍চোরাই রিকশা ক্রয়কারী আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।